জলকামানের পর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ ঢাকার কেন্দ্রস্থলে চলমান আন্দোলনের এক উত্তেজনাপূর্ণ দিনে, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, এবং সকাল থেকে সড়কগুলোতে ব্যাপক অবরোধ সৃষ্টি হয়।
আজকের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কিছু আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই অবস্থায় বেশ কয়েকটি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছে এবং অনেকে সড়ক থেকে সরে গিয়ে পাশের গলিতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ বলছে, তারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বাধ্য হয়েছে, কারণ আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ এবং সরকারি স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়, তবে পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এই আন্দোলনটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এখনো আন্দোলনকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের দাবি জানানোর জন্য রাস্তায় রয়েছে।
সরকার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে নিরাপত্তা বাহিনী জানাচ্ছে যে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে শাহবাগে মহাসমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঢাকার শাহবাগে, জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ (রোববার) দুপুরে সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারীরা মহাসমাবেশ করেছেন।
আজ বেলা পৌনে একটার সময় পর্যন্ত চলছিল মহাসমাবেশ, যেখানে শতাধিক আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা টানা ১১ দিন ধরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তবে তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, যা তাদের কাছে একধরনের চরম অন্যায় বলে মনে হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে নাজমুন নাহার বলেন, "এক নিয়োগে দুই নীতি মেনে নেওয়া হবে না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ জলকামান এবং লাঠিপেটার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়, যা প্রতিবাদের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন, তবে পরে হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে। আন্দোলনকারীরা এখন তাদের বাতিল হওয়া নিয়োগ পুনরুদ্ধার করতে চান।
শাহবাগের এই সড়ক অবরোধ এবং আন্দোলন একদিকে যেমন নাগরিকদের দৃষ্টিতে নজর কাড়ছে, অন্যদিকে সরকারের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
0 coment rios:
সংবাদ দৈনিক অনুসন্ধান - ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেট - Welftion Welfare Educational Leaders Friendly Trusted Investigation Organization Network.